সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর বিশ্বজুড়ে তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। এরমধ্যেই রাশিয়ার সঙ্গে তেলের দাম নিয়ে যুদ্ধ শুরু করেছে সৌদি। দেশটিকে এমন কর্মকান্ড থেকে সরে আসার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া এ যুদ্ধ বন্ধের জন্য সৌদিকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত ২ এপ্রিল সৌদি রাজপুত্র মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ট্রাম্প। পেট্রোলিয়াম রফতানিকারক দেশসমূহের সংস্থা (ওপেক) যদি তেলের দাম না কমায় তবে সৌদি থেকে সব মার্কিন সেনা সরিয়ে নেয়ার আইন পাস করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের ১০ দিন পরেই তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানিয়েছেন রাজপুত্র সালমান। করোনার কারণে যখন তেলের দাম অভূতপূর্বভাবে কমতে শুরু করেছে ঠিক তখনই সৌদি-রাশিয়া মূল্যযুদ্ধের অবসান ও তেলের উৎপাদন কমানোর সম্মিলিত সিদ্ধান্তকে হোয়াইট হাউসের কূটনৈতিক বিজয় বলেও ধরা হচ্ছে। এছাড়া সৌদির সঙ্গে ৭৫ বছরের মিত্রতাকে ঝুঁকিতে ফেলে ট্রাম্প এটাও প্রমাণ করলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের তেলশিল্প সুরক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি।
এক মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে সৌদি নেতাদের জানানো হয় যে, দেশটি যদি তেলের উৎপাদন না কমায় তবে তাদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা থেকে মার্কিন কংগ্রেসকে কিছুতেই আটকানো যাবে না। এর ফলে সৌদি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হতে পারে।
বুধবার সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করে রয়টার্স। সৌদি রাজপুত্রকে তিনি এমন কিছু বলেছিলেন কিনা জিজ্ঞেস করা হলে, ট্রাম্প বলেন, তাকে এমন কিছু বলতে হয়নি। আমার মনে হয়েছে সালমান ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন খুবই যুক্তিবাদী। তারা জানতেন যে তাদের মধ্যে একটি সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে এবং এরপর তারা নিজেরাই এর সমাধানে এসেছেন।
এদিকে এ বিষয়ে কোনো ধরণের মন্তব্য করতে রাজি হয়নি সৌদি আরব। তবে দেশটির এক কর্মকর্তা বলেন, এ চুক্তিতে ওপেক প্লাসের সব দেশই সম্মত হয়েছে। তেলের উৎপাদন কমাতে সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া প্রত্যেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তবে চুক্তিতে যে ২৩টি দেশ ছিলো তাদের সবার সহযোগিতা ছাড়া এটি সম্ভব হতো না। এছাড়া সৌদি রাজপুত্র ও ট্রাম্পের ফোনালাপের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।